সবসময় ডেস্ক ::: সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার তা ছিল সাড়ে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ অবস্থায় সিলেটে চলছে ভয়াবহ লোডশেডিং। বিদ্যুৎ যাচ্ছেতো যাচ্ছেই, আর ফিরার নাম নেই। প্রচড গরমে বিদ্যুতের এই আসা যাওয়া আর থাকা না থাকায় সিলেটবাসীর জীবন রীতিমতো অতিষ্ঠ।
কেউ কেউ এই অবস্থাটাকে তুলনা করছেন ১০/১২ বছর বা তারও আগের অবস্থার সাথে। যখন বিদ্যুৎ যেতোনা মাঝে মাঝে আসতো।
গত সপ্তাহখানেক থেকে সিলেটে তেমন অস্থিরতা বিরাজ করছে। আর এতে জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্ভোগ। ব্যবসা বাণিজ্যে পড়ছে নেতিবাচক প্রভাব। পানির চরম সংকটে ভোগতে শুরু করেছেন সিলেট মহানগরীর বিভিন্ন এলাকার মানুষ।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের কর্মকর্তারাও তেমন কোনো আশার বাণী দিতে পারছেন না। চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের সরবরাহ কম হওয়ায় এমন কঠিন পরিস্থিতে পড়েছেন সিলেটবাসী।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, সিলেট মহানগরীর জন্য প্রতিদিন ১২৪ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও বর্তমানে সরবরাহ হচ্ছে মাত্র ৬২ মেগাওয়াট। আর সিলেট জেলায় ১৫০ মেগাওয়াট চাহিদার মধ্যে সরবরাহ হচ্ছে মাত্র ৮০ মেগাওয়াট।
আর পুরো বিভাগে ২৩০ মেগাওয়াট চাহিদার মধ্যে সরবরাহ হচ্ছে মাত্র ১৩০ মেগাওয়াট। এ অবস্থায় সিলেটবাসীকে অবর্ননীয় দুর্ভোগ পোহাতেই হচ্ছে।
সিলেট মহানগরীর মিরাবাজার এলাকায় পানির ব্যবসা করেন সালমান মিয়া। পানি উত্তোলন করে ১০/২০ লিটারের ক্যানে ভরে বিভিন্ন বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করেন।
তিনি আরও জানান. এমনিতে নানান কারণে ব্যবসা আগের মতো নেই। এরমধ্যে গত এক সপ্তাহে বিদ্যুতের যান্ত্রনার কারণে পানি উত্তোলন প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। সেই হিসাবে তার ব্যবসাও অর্ধেক।
জিন্দাবাজারের ব্যবসায়ী আবুল কালাম (৪০) বললেন, ইকি অবস্থা ভাই? ইতাকিজাত লোডশেডিং? ইতো হউ গত আমল লাখাইন অইগেলো। ইলা আমরা বাঁচতাম কিলা? গেলে আর আইতোউ চায়না।
একই অবস্থা বিরাজ করছে উপজেলা গ্রামঅঞ্চলে গোয়ানঘাট থানাধীন কুপার বাজার থেকে ইকবাল হোসেন (৪৮) কোম্পানীগঞ্জ বাজার থেকে জুয়েল আহমদ (৩২) জানান, একই অবস্থা তাদেরও বিদ্যুৎ নেই সহনীয় যন্ত্রনা উৎপাদন মারাত্মক ব্যাহত ব্যবসা বাণিজ্যে ধ্বংসের পথে , ইত্যাদি ।
এ বিষয়টি নিয়ে সবসময়.কম এর সাথে আলাপ হয় বিদ্যুৎ উন্নয়ন ও বিতরণ বিভাগ সিলেটের সহকারী প্রকৌশলী জারজিসুর রহমানের সাথে।
তিনি বলেন, গ্যাসের সংকট আছে। আছে উৎপাদনের ক্ষেত্রে আরও কিছু সমস্যা। সে কারণেই উৎপাদন কম সরবরাহও কম। উৎপাদন বাড়লে সরবরাহও বাড়বে ইনশাল্লাহ ।
বিদ্যুৎ বিভাগ সিলেট অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল কাদির সবসময়.কমকে বলেন, আমাদের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ হচ্ছে কম তাই এ অবস্থা। তবে চলতি মাসের শেষের দিকে এ অবস্থা থেকে উত্তরণ হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
Leave a Reply